১. আল্লাহর নামে কুরআন পাঠ শুরু করছি। তাঁরই সাহায্য কামনা করে ও তাঁরই নামের বরকত নিয়ে। বিসমিল্লাহর মধ্যে আল্লাহর তিনটি সুন্দরতম নাম রয়েছে: ক. “আল্লাহ” তথা সত্য মা’বূদ। এটি হলো আল্লাহ তা‘আলার সবিশেষ নাম। যা দিয়ে আল্লাহ ভিন্ন অন্য কারো নাম রাখা যায় না। খ. “আর-রাহমান” অর্থাৎ মহান দাতা, বিশাল দয়ার মালিক। তাঁর মূল সত্তাই তো দয়ালু। গ. “আর-রাহীম” অর্থাৎ পরম করুণাময়। তিনি সৃষ্টির যাকে চান দয়া করেন। এদের মধ্যে তাঁর মু’মিন বান্দারাও রয়েছেন।
২. সকল প্রকারের প্রশংসা তথা সকল মহান ও পরিপূর্ণ গুণাবলী শুধুমাত্র তাঁরই; অন্য কারো নয়। কারণ, তিনিই প্রত্যেক জিনিসের প্রভু, ¯্রষ্টা ও নিয়ন্ত্রক বা পরিকল্পনাকারী। “আ-লামীন” শব্দটি আ-লাম শব্দের বহু বচন। তা হলো আল্লাহ ছাড়া সব কিছু।
৩. পূর্বের আয়াতে আল্লাহর প্রশংসার পর এখানে তাঁর কিছু স্তুতি বর্ণনা করা হচ্ছে। তিনি রহমান তথা অসীম দয়ালু এবং তিনি রহীম তথা পরম করুণাময় ও অতিশয় মেহেরবান।
৪. এখানে আল্লাহর মহত্ত¡ বর্ণনা করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, তিনিই হলেন কিয়ামত দিবসের সব কিছুর মালিক। সেদিন কেউ কারো সামান্য উপকার বা অপকার করতে পারবে না। يَوْمُ الدِّيْنِ “ইয়াওমিদ্দীন” মানে হিসাব-নিকাশ ও প্রতিদান দিবস।
৫. হে আল্লাহ! আমরা কেবল আপনার জন্যই যাবতীয় ইবাদত ও আনুগত্য করি। আপনার সাথে আর কাউকে শরীক করি না। আমাদের সকল ব্যাপারে কেবল আপনারই সাহায্য কামনা করি। আপনার হাতেই সকল কল্যাণ। আপনি ছাড়া আমাদের আর কোন সাহায্যকারী নেই।
৬. আপনি আমাদেরকে সরল পথ দেখান। এর উপর পরিচালিত করুন। অটল রাখুন। আরো হিদায়েত বাড়িয়ে দিন। الصِّرَاطُ الْـمُسْتَقِيْمُ “আস-সিরাতুল-মুস্তাকীম” মানে এমন সুস্পষ্ট পথ যাতে কোন ধরনের বক্রতা নেই। সেটি হলো সেই ইসলাম যা দিয়ে আল্লাহ তা‘আলা আমাদের নবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন।
৭. আপনার সে বান্দাদের পথ যাদেরকে আপনি হিদায়েতের মাধ্যমে অনুগ্রহ প্রদান করেছেন। যেমন: নবী, সিদ্দীক, শহীদ ও নেককারগণ। কতোই না ধন্য ও পুণ্যবান সাথী তাঁরা। ওদের পথ নয়; যাদের উপর আপনি গোসসা হয়েছেন। যারা সত্য জেনেও তা অনুসরণ করেনি। যেমন: ইহূদিরা। ওদের পথও নয়; যারা সত্যভ্রষ্ট হয়েছে। যারা সঠিক পথের সন্ধান পায়নি। কারণ, তারা সঠিক পথ অনুসন্ধান ও তা পাওয়ার ব্যাপারে প্রচুর ত্রæটি করেছে। যেমন: খ্রিস্টানরা।