surah.translation .

১. যারা মাপে কম দেয় তাদের জন্য ধ্বংস ও বিনাশ।
২. তারা লোকদের নিকট থেকে মেপে নেয়ার সময় পূর্ণমাত্রায় গ্রহণ করে।
৩. আর যখন মানুষের জন্য মাপে বা ওজন করে তখন কম দেয়। বস্তুতঃ এটি ছিলো নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর মদীনায় হিজরতকালীন মদীনাবাসীদের অবস্থা।
৪. এ অন্যায় কাজ যারা করে তারা কি বিশ্বাস করে না যে, তারা আল্লাহর নিকট পুনরুত্থিত হবে।
৫. হিসাব ও প্রতিদানের উদ্দেশ্যে। এক মহা দিবসে যা হবে অত্যন্ত ভয়াবহ ও বিভীষিকাময়।
৬. সে দিন মানুষ সৃষ্টিকুলের রবের উদ্দেশ্যে হিসাবের জন্য দÐায়মান হবে।
৭. ব্যাপারটি তোমাদের ধারণা অনুযায়ী নয় যে, মৃত্যুর পর আর কোন পুনরুত্থান নেই। বরং পাপীষ্ঠ কাফির ও মুনাফিকদের আমলনামা থাকবে সিজ্জীনে তথা ক্ষতির মধ্যে নিমজ্জিত।
৮. হে রাসূল! আপনি কি জানেন, সিজ্জীন কী?
৯. তাদের আমলনামা লিপিবদ্ধ থাকবে। যা নষ্ট হবে না। না তাতে কোন কিছু কম-বেশি করা হবে।
১০. সে দিন মিথ্যারোপকারীদের জন্য রয়েছে ধ্বংস ও দুর্ভোগ।
১১. যারা সেই প্রতিদান দিবসের প্রতি মিথ্যারোপ করেছে। যে দিন আল্লাহ তাঁর বান্দাদেরকে দুনিয়ার কৃত আমলের প্রতিদান দিবেন।
১২. বস্তুতঃ এ দিবসকে কেবল আল্লাহর সীমালঙ্ঘনকারী মহা পাপীষ্ঠ ব্যতীত অন্য কেউ অস্বীকার করে না।
১৩. তার সামনে আমার রাসূলের উপর নাযিলকৃত আয়াতগুলো পাঠ করা হলে সে বলে: এ সব হলো পূর্বেকার জাতিদের কিংবদন্তী; আল্লাহর পক্ষ থেকে নয়।
১৪. ব্যাপারটি এ সব মিথ্যারোপকারীর ধারণা অনুযায়ী নয়। বরং তাদের বিবেককে পরাভূত করে ঢেকে রেখেছে তাদের অর্জিত পাপসমূহ। ফলে তারা নিজেদের অন্তর দিয়ে সত্যকে দেখতে পায় না।
১৫. নিশ্চয়ই তারা কিয়ামত দিবসে স্বীয় প্রতিপালকের দর্শন থেকে বঞ্চিত হবে।
১৬. অতঃপর তারা জাহান্নামের আগুনে প্রবেশ করবে। তারা এর উত্তাপ আস্বাদন করবে।
১৭. অতঃপর তাদেরকে কিয়ামত দিবসে ধ্বমকের স্বরে বলা হবে, তোমরা যে শাস্তি পোহাচ্ছো সে ব্যাপারে দুনিয়ার জীবনে তোমাদের রাসূল তোমাদেরকে সংবাদ দিলে তা তোমরা অবিশ্বাস করতে।
১৮. ব্যাপারটি তোমাদের ধারণা অনুযায়ী নয় যে, কোন হিসাব ও শাস্তি নেই। বরং আনুগত্যশীলদের আমলনামা ঊর্ধ্বদেশে রয়েছে।
১৯. হে রাসূল! আপনি কি জানেন, ঊর্ধ্বদেশ কী?
২০. তাদের আমলনামা এতে লিপিবদ্ধ রয়েছে। এতে কোন কিছুই কম-বেশী করা হবে না।
২১. উক্ত আমলনামা আল্লাহর আসমানসমূহের সকল ফিরিশতা প্রত্যক্ষ করবেন।
২২. নিশ্চয়ই বেশী বেশী আনুগত্যের কাজ সম্পাদনকারীরা কিয়ামত দিবসে স্থায়ী নিআমতের মধ্যে অবস্থান করবে।
২৩. তারা সুসজ্জিত আসনে বসে স্বীয় প্রতিপালকের দর্শন লাভ করবে এবং তাদের চাহিদা মাফিক তারা আরো অনেক সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের দৃশ্য দেখতে থাকবে।
২৪. আপনি যখন তাদেরকে দেখবেন তখন তাদের চেহারায় স্বাচ্ছন্দ্যের নিদর্শন হিসেবে সৌন্দর্য ও লাবণ্য দেখতে পাবেন।
২৫. তাদেরকে নিজেদের সেবকরা মোহরকৃত সুরা পান করাবে।
২৬. এর মোহর হলো কস্ত‚রীর। বস্তুতঃ এ সম্মানজনক প্রতিদান পাওয়ার জন্য যেন প্রতিযোগীরা আল্লাহর সন্তুষ্টির কাজ করে এবং অসন্তুষ্টির কাজ থেকে বিরত থেকে প্রতিযোগিতা করে।
২৭. এর সাথে রয়েছে “তাসনীম” নামক প্র¯্রবণের মিশ্রণ।
২৮. এটি হলো জান্নাতের উঁচু স্তরের একটি ঝর্নাধারা। যা থেকে নৈকট্যশীল বান্দারা স্বচ্ছ ও খাঁটি পানীয় পান করবে এবং সকল মুমিনও অন্য উপাদানের সাথে মিলিয়ে তা পান করবে।
২৯. নিশ্চয়ই যারা কুফরির মাধ্যমে অপরাধ করেছে তারা ঠাট্টার ছলে মুমিনদেরকে নিয়ে হাসাহাসি করে।
৩০. তারা মুমিনদের নিকট দিয়ে গমন করলে ঠাট্টা ও বিদ্রƒপের ছলে পরস্পর চোখ টিপা-টিপি করে।
৩১. আবার যখন তারা নিজেদের পরিজনের নিকট ফিরে যায় তখন তারা আনন্দ চিত্তে ফিরে এ কারণে যে, তারা কুফরির উপর রয়েছে এবং মুমিনদেরকে নিয়ে বিদ্রƒপ করেছে।
৩২. আর যখন মুসলমানদেরকে দেখে তখন বলে, এরা মূলতঃ সত্য থেকে পথভ্রষ্ট। কেননা, এরা নিজেদের বাপ-দাদার ধর্ম পরিহার করেছে।
৩৩. বস্তুতঃ আল্লাহ তাদেরকে এদের আমল সংরক্ষণের দায়িত্ব দেন নি। যার ফলে তারা এ কথা বলতে পারে।
৩৪. কিয়ামত দিবসে মুমিনরা কাফিরদেরকে নিয়ে হাসাহাসি করবে যেমনটি কাফিররা দুনিয়াতে মুমিনদেরকে নিয়ে হাসাহাসি করতো।
৩৫. তারা সুসজ্জিত আসনে বসে তাদের উদ্দেশ্যে প্রস্তুতকৃত আল্লাহর স্থায়ী নিয়ামত প্ররিদর্শন করবে।
৩৬. বস্তুতঃ কাফিরদেরকে তাদের দুনিয়ার কৃতকর্মের ফলস্বরূপ পরকালে অপমানজনক প্রতিদান দেয়া হবে।