ﰍ
surah.translation
.
ﰡ
১. হে রাসূল! আপনার প্রতিপালক আপনার প্রতি যা ওহী করেন আপনি তা পাঠ করুন সেই রবের নামে শুরু করার মাধ্যমে যিনি কুল মাখলুকাত সৃষ্টি করেছেন।
২. তিনি মানুষকে রক্তপিÐ থেকে সৃষ্টি করেছেন যা একদা বীর্য ছিলো।
৩. হে রাসূল! আপনার প্রতিপালক আপনার প্রতি যা ওহী করেন আপনি তা পাঠ করুন। বস্তুতঃ আপনার প্রতিপালক মহা দানবীর; যাঁর বদান্যতার সাথে কোন বদান্যের বদান্যতার তুলনা হয় না। তিনি পর্যাপ্ত উদার ও অনুগ্রহশীল।
৪. তিনি কলমের সাহায্যে অঙ্কন ও লিখা শিখিয়েছেন।
৫. তিনি মানুষকে শিক্ষা দিয়েছেন যা সে জানতো না।
৬. নিশ্চয়ই পাপিষ্ঠ মানুষ যেমন আবু জাহল আল্লাহর সীমালঙ্ঘনে সীমাহীন।
৭. কারণ এই যে, সে তার সম্পদ ও মর্যাদা দেখে নিজেকে বেপরওয়া মনে করে।
৮. হে মানুষ! নিশ্চয়ই তুমি নিজ প্রতিপালকের দিকে কিয়ামত দিবসে প্রত্যাবর্তিত হবে। তখন তিনি সবাইকে যার যার আমলের উপযুক্ত প্রতিদান দিবেন।
৯. তুমি কি আবু জাহলের কর্মকাÐ অপেক্ষা কোন আশ্চর্যজনক কিছু দেখেছো? যে বারণ করে।
১০. আমার বান্দা মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)কে নামায থেকে। সে বারণ করে যখন তিনি কাবার পাদদেশে নামায পড়তে শুরু করেন।
১১. তুমি কি লক্ষ্য করেছো, যদি এ বারণকৃত তাঁর রব কর্তৃক হিদায়েত ও সম্যক জ্ঞানের উপর থাকে?!
১২. কিংবা মানুষকে আল্লাহর আদেশ-নিষেধ মান্য করার মাধ্যমে তাক্বওয়ার নির্দেশ দেয় তাহলে কি এমন আদর্শের মানুষকে বারণ করা যায়?!
১৩. তুমি কি লক্ষ্য করেছো, যদি উক্ত বারণকারী রাসূল যা নিয়ে আগমন করেছেন সেটির প্রতি মিথ্যারোপ করে এবং তা থেকে বিমুখ হয়ে যায়?! সে কি আল্লাহকে ভয় করে না?
১৪. উক্ত বান্দাকে নামায থেকে বারণকারী কি জানে না যে, আল্লাহ তার আচরণ দেখছেন। তাঁর নিকট কোন কিছুই গোপন নয়।
১৫. ব্যাপারটি উক্ত অর্বাচীন যেমনটি মনে করেছে সেরকম নয়। যদি সে আমার বান্দাকে কষ্ট দেয়া ও তাঁর প্রতি মিথ্যারোপ করা থেকে ক্ষান্ত না হয় তাহলে আমি অচিরেই তার সামনের ঝুঁটি শক্ত করে ধরে টেনে-হেঁচড়ে তাকে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাবো।
১৬. এ ঝুঁটির অধিকারী নিজ কথায় মিথ্যাবাদী ও আদর্শচ্যুত।
ﭧﭨ
ﰐ
১৭. তাকে যখন তার মাথার ঝুঁটি ধরে জাহান্নামের দিকে টেনে নেয়া হবে তখন সে যেন নিজকে উদ্ধার করার জন্য সহযোগিতার তাগিদে তার সাথী ও বৈঠকের সঙ্গীদেরকে আহŸান করে।
ﭪﭫ
ﰑ
১৮. আমি অচিরেই জাহান্নামের প্রহরী রূঢ় অন্তরের ফিরিশতাদেরকে আহŸান করেবো। যারা নির্দেশ মোতাবিক কাজ করে তথা কোন অন্যথা করে না। তাই সে ভেবে দেখুক কোন পক্ষ বেশী শক্তিশালী।
১৯. ব্যাপারটি তেমন নয় যেমনটি উক্ত জালিম ধারণা করেছে যে, সে আপনার অনিষ্ট করবে। তাই আপনি তার আদেশ-নিষেধ কোনটারই অনুসরণ করবেন না। বরং আল্লাহর উদ্দেশ্যে সাজদা করুন। আর আনুগত্যের মাধ্যমে তাঁর নৈকট্য লাভের চেষ্টা করুন। কেননা, এটিই তাঁর নৈকট্য লাভ করিয়ে দেয়।